ছবি: সংগৃহীত
চিনি রফতানিতে বিধিনিষেধের সময়সীমা এক বছর বাড়িয়েছে বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, চিনি রফতানির ওপর বিধিনিষেধ ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কো-অপারেটিভ সুগারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকাশ নায়েকনাভারে বলেছেন, ‘শুধুমাত্র চিনি রফতানিকে সীমিত করার জন্য সরকার এ সিদ্ধান্তের সময়সীমা বাড়িয়েছে। তবে এর মানে এ নয় যে ২০২২-২৩ সালে চিনি রফতানির অনুমতি দেবে না সরকার।’
চলতি মৌসুমের চিনি রফতানি কোটা আগামী সপ্তাহে জারি হতে পারে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য ও সরকারি সূত্র।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সেপ্টেম্বরে শেষে হওয়া ২০২১-২২ বিপণন বছরে ভারতের চিনি রফতানির ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। যা ১০৯ দশমিক ৮ লাখ টন। এর পরেই দেশের স্থানীয় বাজারে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে মে মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে চিনি রফতানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারত।
সে সময়ে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির বরাতে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকার সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিপণন বছরের জন্য ১০ মিলিয়ন টন চিনি রফতানি পরিকল্পনা করছে। আগামী অক্টোবরে চিনির মৌসুম শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যাপ্ত চিনি মজুত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ মাসে ভারতীয় সরকার এবং শিল্প কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছরে রেকর্ড চিনি উৎপাদনের আশা করছে ভারত। এতে নয়া দিল্লি ৮ মিলিয়ন টন পর্যন্ত চিনি রফতানির অনুমতি দিতে পারে।
তবে ভারতীয় সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ভারত ৯ মিলিয়ন টন চিনি রফতানি করতে পারে। আকর্ষণীয় বৈশ্বিক মূল্যের ওপর ভিত্তি করে ইতোমধ্যে এ মৌসুমের ‘র সুগার’ রফতানির চুক্তি স্বাক্ষর শুরু হয়েছে।
ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইথানল উৎপাদনের জন্য প্রায় ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন চিনি সরানোর পরে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ভারত প্রায় ৩৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন চিনি উৎপাদনের আশা করছে। যা গত মৌসুমের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি।
গত বছর ব্রাজিলের পরে বিশ্বের বৃহত্তম চিনি রফতানিকারক দেশ ছিল ভারত। বাংলাদেশ দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি চিনি আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশের পরে শীর্ষ গ্রাহকদের তালিকায় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং দুবাই রয়েছে।