জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে তার সাবেক স্বামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে সোনিয়া আক্তার। তিনি বাটিকামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুলপাল গ্রামের লিপন মিয়ার ছেলে ও গৃহবধূর সাবেক স্বামী মাহিম (১৯), তার সহযোগী দৌলতপুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে পল্লব হাসান (১৮), পঞ্চাশি গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে সাকিব হাসান (১৮) ও মো. ফজলুল হকের ছেলে মো. জয়নাল মিয়া (৪৫)
জানা গেছে, আটমাস আগে মাহিমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য সোনিয়ার ওপর নির্যাতন করতে থাকেন মাহিম। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কিছুদিন আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তবে বিয়ে ভেঙে গেলেও দুজনের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ চলত। গত ২৫ অক্টোবর মাহিম সোনিয়াকে দৌলতপুর বন্ধু পল্লবের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতভর কয়েকজন মিলে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
সোনিয়ার বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, সোনিয়াকে মাহিম ও তার বন্ধুরা ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মুখে বিষ দেয় তারা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তারাই সোনিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোনিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এজাহারভুক্ত নিহত কিশোরীর সাবেক স্বামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।