যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীর সাবমেরিনে নারী কর্মীদের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রয়্যাল নেভির প্রধান। খবর বিবিসির।
সাবমেরিনে কাজ করতে যাওয়া কয়েক নারী কর্মকর্তার অভিযোগের পর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো ঘটনাটিকে অত্যন্ত জঘন্য বলে নিন্দা প্রকাশ করেছেন রয়্যাল নেভির প্রধান অ্যাডমিরাল স্যার বেন। এ ঘটনাকে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কারও বিরুদ্ধে ধর্ষণের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদমাধ্যমে সাবমেরিনে কাজ করা সাবেক নারীরা বলেছেন, কর্মরত অবস্থায় প্রায় সব কর্মকর্তাদের দ্বারাই তারা শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন।
ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ফার্স্ট সি লর্ড অ্যাডএম স্যার বেন, অভিযোগগুলোকে ঘৃণ্য বলে অভিহিত করেছেন। তা ছাড়া রয়্যাল নেভিতে এসব হয়রানির কোনো স্থান নেই ও এটি সহ্যও করা হবে না বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
এক নারী জানিয়েছেন, তিনি ঘুমানোর সময় উচ্চপদমর্যাদার একজন ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। তা ছাড়া একজন সিনিয়র অফিসার তার কিডনিতে ঘুষিও মেরেছেন।
এ ছাড়া অন্যান্য নারী অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের প্রায়ই তাদের আপত্তিকর কাজ করতে বলা হতো।
এক দশকের বেশি সময় ধরে সাবমেরিনে নারীদের নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১১ সালে এই চাকরিতে নারীদের নিয়োগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর থেকেই এ ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।