সিলেটের অর্ধশতাধিক আদালতে মামলার পাহাড় গড়ে ওঠেছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে বিচারপ্রার্থীদের। করোনার দুবছরের সঙ্গে বিভিন্ন আদালতের বিচারকের পদশূন্য থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি উত্তরণে আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সিলেটে শতশত বিচারপ্রার্থীকে বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে সময় পার করতে হচ্ছে। এটা এখন সিলেট আদালত চত্বরের প্রতিদিনের চিত্র।
ব্ল্যাস্ট সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী মনে করেন, আইনের প্রাপ্যতা হাতের মুঠোয় আসায় মামলার সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন জানান, মামলা প্রবণতার হার বাড়ার পাশাপাশি আদালতের সংখ্যা না বাড়ায় বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি বাড়ছে।
ল্যান্ড সার্ভে আদালতে মামলার সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঁচ হাজারের মতো মামলা ঝুলে আছে। করোনা পরিস্থিতি ও বিচারকের বদলিতে মামলা জটের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সামছুল হক জানান, গুরুত্বপূর্ণ আদালতসহ ৮ বিচারকের পদশূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় মামলার জট কমতে আরও সময় লাগবে।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজের অধীন ২২টি আদালতে সাড়ে ২৮ হাজার মামলাসহ ৬০টি আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা লাখের মতো।