ভয়াবহ বায়ুদূষণের কবলে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও এর আশপাশের এলাকাগুলো। দীপাবলির পরে স্বাভাবিকের তুলনায় বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৪০০-তে পৌঁছেছে বলে জানায় দেশটির কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। এ অবস্থায় দূষণের জন্য একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারাপ করেছে বিজেপি ও আম আদমি পার্টি। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
ক্ষতিকর কালো ধোঁয়া আর ধুলাবালির আস্তরণে ঢেকে গেছে নয়াদিল্লির রাস্তাঘাট। দীপাবলির পর থেকে চরম বায়ুদূষণের কবলে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও এর আশপাশের এলাকাগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দীপাবলিতে রাজধানীজুড়ে দেদার আতশবাজিসহ কৃষকদের খড় পোড়ানোতেই দূষণের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে বিষাক্ত বাতাস আর বায়ুদূষণে নাভিশ্বাস দিল্লিবাসীর। সবচেয়ে বেশি বিপাকে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।
রাজধানীর এক বাসিন্দা বলেন, আমাকে সারা দিন এভাবে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। এ দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে আমার। আরেকজন বলেন, এতো বেশি ধুলাবালি চারপাশে যে কখনও কখনও শ্বাসকষ্ট অনুভব করি। শিগগিরি পরিবেশ দূষণমুক্ত হোক, এটাই চাই।
দীপাবলির পর দিল্লির বাতাসের গুণমান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স পৌঁছেছে ৪০০-তে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। এতে দিল্লির বাতাস দূষিত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড।
এ অবস্থায় দূষণের জন্য একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারাপ করছে বিজেপি ও আম আদমি পার্টি। এমনকি আম আদমি পার্টির সমর্থকরা দিল্লির সরকারি অফিসের সামনে সমাবেশও করেছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করছে জানিয়ে বেশ কয়েকটি স্থানীয় শিল্পকারখানা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি সবাইকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
চোখে জ্বালাপোড়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা নিয়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ। হঠাৎ করে দেশটিতে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা বিশ্বের ৫০টি শহরের মধ্যে ৩৫টিই ভারতে। দূষণ কমাতে দিল্লি প্রশাসন প্রতিবছর নানা পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
এরই মধ্যে নয়াদিল্লির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানিতে শিল্প বর্জ্যের পরিমাণ বাড়তে থাকায় দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। কিছুটা দূষণমুক্ত করতে নদীর পাড় থেকে আবর্জনা পরিষ্কারে কাজ করছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।