মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডব কিছুটা কমলেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চারগুণ মৃত্যু বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর নতুন করে আরও চারজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এনিয়ে সারা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪২৩ জন। এদিন নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১৫ জন। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ৩৫ হাজার ১৫২ জনে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৬১ জন। এনিয়ে এখন পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৫০৯ জন।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৪টি। পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এর আগে শনিবার (২৯ অক্টোবর) করোনায় একজনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয় ৬৯ জনের দেহে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
পরবর্তী সময়ে করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ২০০-র নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০-র নিচে নেমে আসে। ডেলটার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় আবারও মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।