শীতের সবজি গ্রীষ্মে ও গ্রীষ্মের সবজি শীতকালে চাষ। অসময়ের ফসল উৎপাদনের এমন পদ্ধতিতে সবজি চাষ এবং চারা তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন শেরপুরের কৃষকরা।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ‘ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় শেরপুরে প্রথমবারের মতো ‘পলিনেট হাউস’ পদ্ধতিতে সবজি চাষ ও চারা উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত চারা ২০ দিন পর রোপণ করা যায়।
এ পদ্ধতিতে পলিথিন ও নেট দিয়ে তৈরি ঘরে আগাম সবজি ও চারা উৎপাদন করা হয়। আধুনিক এ পলিনেট হাউসে মাটির পরিবর্তে নারিকেলের ছোবরায় তৈরি কোকোপিটে চারা উৎপাদন করা হয়। ফলে ভাইরাস ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়।
চারার চাহিদা বেশি থাকায় এবং আগাম সবজি বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। এজন্য সহজ শর্তে ঋণের সুবিধা চান চাষিরা।
চাষিরা জানান, সার ছাড়াই চারাগুলো রোপণ করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানির প্রয়োজন হয় না। পলিনেট হাউস পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে কোনো রাসায়নিক বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। এ পদ্ধতি অনেক ভালো এবং লাভজনক।
বিশেষ এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার। তিনি বলেন, পলিনেট হাউস স্থাপন করার কারণে কৃষকের চাহিদা মতো সারাবছরই চারা উৎপাদন করার পাশাপাশি সারা বছর উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।
জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলায় সরকারি সহায়তায় তিনটি এবং সদর উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে একটি পলিনেট হাউস গড়ে উঠেছে।