বিশ্বকাপ চলাকালেই এক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হতে হলো বিরাট কোহলিকে। অস্ট্রেলিয়ায় তার হোটেল রুমের ভিডিও গোপনে ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নিজের প্রাইভেসি নষ্ট হওয়ায় খুবই বিরক্ত হন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
এদিকে, কোহলির রুমের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই ক্রিকেটবিশ্বে তোলপাড় পড়ে যায়। পার্থের ওই হোটেলটির পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এ ধরনের আচরণ তারা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
জানা গেছে, হোটেলের কিছু কর্মী এই কাজটা করেছেন। এরই মধ্যে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এমনকী ভিডিওটি সরিয়ে দেয়া হয়েছে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে।
হোটেলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যারা জড়িত তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের সংস্থার সাহায্য নিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর ভবিষ্যতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করা হবে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন কোহলি। সেখানে দেখা যায়, কোহলির হোটেল রুমে ঢুকে ভিডিও করছেন কয়েকজন। ভারতীয় ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত সামগ্রীর ভিডিও ধারণ করছেন তারা। কোহলির জুতা, জামা-কাপড়, বিছানা থেকে শুরু করে শৌচাগারেরও ভিডিও করা হয়েছে। সেই সময়ই দেখা যায়, কোট-প্যান্ট পরা কয়েকজন রয়েছেন কোহলির রুমে। ধারণা করা হয়, হোটেলেরই কর্মী হতে পারেন তারা।
ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করে কোহলি লিখেছেন, আমি জানি, ভক্তরা সবসময় তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে দেখে আনন্দ পান, দেখা করতে চান। আমি তাকে সম্মান করি। কিন্তু এই ভিডিও দেখে আমি আতঙ্কিত। যদি আমার হোটেল রুমেই আমার গোপনীয়তা রক্ষা না হয়, তাহলে কোথায় হবে?
এই ঘটনায় চরম বিরক্ত হয়ে কোহলি আরও লিখেছেন, এই ধরনের ভালোবাসা আমি চাই না। এভাবে কারও ব্যক্তিগত পরিসরে ঢোকা ঠিক নয়। দয়া করে প্রাইভেসিকে সম্মান করুন। তাদের বিনোদনের পণ্য করে তুলবেন না।
এদিকে কোহলিপত্নী আনুষ্কা শর্মাও এ ঘটনায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন। ভিডিওটির স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করে আনুষ্কা লিখেছেন, অতীতেও এমন ঘটেছিল, কিন্তু তখন অনেকেই প্রতিবাদ জানায়নি। কিন্তু এটা নিন্দনীয় কাজ। যারা এটা দেখে আর মনে করে, তারকা হলে এমন করা যেতেই পারে, তাদের এটা ভাবা উচিত তারাও এটার অংশ। আনুষ্কার প্রশ্ন, যখন আপনার বেডরুমের ভিডিও এভাবে ধারণ করা হবে তখন কি করবেন?
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি লিখেছেন, ‘এটা খুব বিরক্তিকর ঘটনা। মেনে নেয়া যায় না।’