ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে ইসরাইলকে রাজি করানো উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এমন মন্তব্য করেছেন ইসরাইলে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত কর্নিচুক।
রোববার (৩০ অক্টোবর) দ্য হিল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কর্নিচুক বলেছেন, ইসরাইল একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কথায় শোনে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা যাতে রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা মেনা চলা নিশ্চিত করা।
তিনি আরও জানান, এই কারণেই আমরা কীভাবে ইসরাইলের সমর্থন পেতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করছি। সামরিক প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ইসরাইল যেভাবে এগিয়ে তাদের সহযোগিতা আমাদের পক্ষে সহায়ক হবে।
কর্নিচুক আরও জানান, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটুকু বলা যায়, ইসরাইলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কিছুটা ‘ইতিবাচক উন্নয়ন’ হয়েছে। এতে ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইসরাইল। তবে কর্নিচুক আরও জানান, ‘ইউক্রেন ইসরাইলের কাছ থেকে আরও কিছু আশা করে।’
কর্নিচুক জানান, রাশিয়াকে ইরানের ড্রোন সরবরাহ করেছে। তবে এই দুই দেশই বিষয়টি অস্বীকার করছে। এখন এই বিষয় সামনে চলে আসায় তারা আশা করেন ইসরাইল ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে।
এদিকে কর্নিচুকের সাক্ষাৎকারের এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এলেক্সেই রেযনিকভকে জানিয়েছেন, কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ইসরাইল ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না। তবে ইসরাইল কিয়েভকে মানবিক সহায়তা এবং জীবন রক্ষাকারী প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সরবরাহ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।