যশোরে আগুনে পুড়িয়ে রায়হান হোসেন (২২) নামে এক যুবককে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) রাতে বাঘারপাড়া উপজেলার জামালপুর মাথাভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রায়হান হোসেন যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
আহত রায়হান জানান, তার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। রোববার বিকেলে তাকে তার স্ত্রী ফোন করে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি, স্ত্রী ও ভায়রা ভাই মিলে তাকে ধরে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহমদ তারেক সামস জানান, ভিকটিমের বুক, পিঠ, পেট ও মাথার একাংশ দগ্ধ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার শরীরের ৪০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন জানান, রায়হানের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি স্ত্রী রাবেয়াকে নিতে এসেছিল রায়হান। রাবেয়া যেতে রাজি না হওয়ায় রায়হান নিজেই নিজের গায়ে পেট্রল লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।