মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চুরোক মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (২৭), কালিউতা গ্রামের সবুর মিয়ার ছেলে রতন মিয়া, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড় আলমপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মইন উদ্দিন (২০), মুরাদনগর উপজেলার শহিদ মিয়ার ছেলে ওসমান গণি (৩৫), বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আমতলীপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কালিউতা গ্রামের সবুজ মিয়ার স্ত্রী আখি নূর (২৩) ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা বাজার গ্রামের ওসমান গণির স্ত্রী সোনিয়া বেগম ওরফে ফরিদা (২৯)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রংপুর জেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম প্রায় এক মাস আগে কুমিল্লায় এসে দিনমজুরের কাজ করতেন। গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্রতারক চক্রের দুই সদস্য নগরীর চকবাজার এলাকায় ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তার মোবাইলে থাকা সব নম্বর কপি করে ওই মোবাইলটি তাদের নম্বরে ডাইভার্ট করে দেয়। পরে তার স্বজনদের কাছে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের পরিবার ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সহায়তা চায় এবং জেলা ডিবি অফিসে যোগাযোগ করলে জানা যায় মুক্তিপণ চাওয়া কেউ ডিবি পুলিশের সদস্য নয়। পরবর্তীতে সোমবার (৩১ অক্টোবর) অজ্ঞাতনামা প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম।
পরে প্রতারকচক্রকে গ্রেফতার করতে ডিবি পুলিশ অভিযান শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রের দুই নারীসহ ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডিবি লেখা একটি খাকী কটি জ্যাকেট, একটি হাতকড়া, দুই রাউন্ড গুলি, একটি চাকু ও ৯টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ডাক্তার সেজে করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় র্যাবের দায়ের করা একটি মামলাও তদন্তাধীন রয়েছে।