প্রতীকী ছবি
লক্ষ্মীপুরে বড় ভাই না ডাকায় দুই সহোদর ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে বখাটেরা। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী আরমান হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের বালুরট্যাক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নুর হোসেন নামে এক টেলিকম ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়।
আহতরা হলেন- একই ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের শাহ আলম খাঁর ছেলে শরীফ উদ্দিন (২৫) ও মো. মোহন (৩০)। অভিযুক্ত ব্যক্তি একই এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে আরমান।
আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীফ চট্টগ্রামে চাকরি করেন। কয়েকদিনের জন্য বাড়িতে বেড়াতে আসছেন। গত তিন দিন আগে তার সামনে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী আরমান হোসেন একটি ছেলেকে মারছিল। এটি দেখে শরীফ বাধা দেয়। এতে শরীফকেও লাথি-ঘুষি মারে তিনি। পরে শরীফ তার বিড় ভাই মোহনকে বিষয়টি জানায়।
এদিকে এ ঘটনার সময় আরমানকে দেখে মোহন মারধরের কারণ জানতে চায়। এ সময় হঠাৎ করে আরমান ও তার সঙ্গীরা মোহনের ওপর হামলা করে। এ সময় ভাইকে বাঁচাতে গেলে শরীফ ফের পিটুনির শিকার হয়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের মাথায় আঘাত করে বখাটেরা। পরে তারা বাঁচার জন্য স্থানীয় নুর হোসেনের টেলিকমের দোকানে ঢোকে। সেখানে হামলা চালিয়ে দোকানটি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ সময় টেবিলের ওপর থাকা বিকাশের ১৭ হাজার ৬০ টাকা লুটে নেয় তারা। নুর হোসেন আহতদের বোন জামাই।
আহতদের বোন রিনা আক্তার বলেন, আরমান বয়সে আমার ভাইদের ছোট। কিন্তু তাকে এলাকায় বড় ভাই না ডাকায় একটি ছেলেকে মারধর করে। সেখানে আমার ভাই শরীফকেও মারধর করা হয়। পরে মারধরের কারণ জানতে চাওয়ায় আমার দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে আরমানসহ তার সঙ্গীরা।
আহতদের বাবা শাহ আলম বলেন, শুনেছি আরমান ছাত্রলীগের রাজনীতি করে। সে এলাকায় সবার খারাপ আচরণ করে। বিনা কারণ আমার ছেলেদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার প্রায় ৮-১০ জন ছিল হামলা করার সময়।
বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী আরমান হোসেনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।