মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪টি। বিলুপ্তপ্রায় এসব মাছ রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে এতথ্য জানান তিনি।
মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারা দেশে খামারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে গাভীর খামার দুই লাখ ৭০ হাজার ২৯০ টি, ছাগল/ভেড়ার খামার আট লাখ ৭৩ হাজার ২০০টি এবং পোল্ট্রি খামার এক লাখ ৯৫ হাজার ১০০টি।
সরকারি দলের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততার বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদের উপর ক্রমশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া নদীগুলোতে লবনাক্ত পানি অনুপ্রবেশের ফলে মিঠা পানির মাছ ও প্রাথমিক উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন ঘটছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মাছের আবাসস্থল, বিচরণক্ষেত্র, অভিপ্রায়ণ ও প্রজনন প্রভাবিত হচ্ছে।’
জলবায়ুর ধারাবাহিক ক্রম অবনতির ফলে মৎস্য সম্পদের ওপর নানা ধরনের বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মাছের অনেক আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হচ্ছে। মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মাছের প্রজাতি-বৈচিত্র্যেও। এছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনাবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল, প্রজননক্ষেত্র ও লালনক্ষেত্র হ্রাস পাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় পুকুর-দিঘীর পানির স্তর কমে যাচ্ছে। বাৎসরিক পুকুরগুলো মৌসুমি পুকুরে রূপান্তরিত হচ্ছে। আবাদি পুকুরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মৎস্য সেক্টরের উপর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে সরকার পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে বলেও মন্ত্রী জানান।