ম্যাচের শেষদিকে রশিদ খানের ব্যাটিং তাণ্ডবে প্রায় হারতেই বসেছিল অস্ট্রেলিয়া। রুদ্ধশ্বাস এ ম্যাচে অবশ্য শেষ পর্যন্ত ৪ রানের জয় তুলে নেয় অজিরা। এতে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে সেমির পথে এক পা দিলেও তাদের সামনে এখন বড় বাধা ইংল্যান্ড।
অ্যাডিলেডে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) অজিদের দেয়া ১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে আফগানদের ইনিংস থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে। রশিদ খান ঝড় তুলে ২৩ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসটি ৩ চার ও ৪ ছক্কার মারে সাজানো ছিল। অজিদের পক্ষে দুটি করে উইকেট তুলে নেন জশ হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।
অ্যাডিলেডে শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়ায় নেমে শুরুতে উসমান গণির উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভালোই জবাব দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। গুরবাজ ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কার মারে ৩০ রান করে আউট হন।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে ৫৯ রান এনে দেন ইব্রাহিম ও গুলবাদিন নাইব। গুলবাদিন রান আউটের শিকার না হলে, অজিরা বেশ বিপদেই পড়তো। ২৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করেন এ ব্যাটার। ইনিংসের ১৪তম ওভারে এসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের দখলে নিয়ে নেন অ্যাডাম জাম্পা। সাজঘরে ফেরান সেট ব্যাটার ইব্রাহিমকে। তিনি ২৬ বলে ৩৩ রান করেন।
এক বল বিরতি দিয়ে ক্রিজে নামা নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও ক্যাচে পরিণত করেন জাম্পা। পরের ওভারে এসে মোহাম্মদ নবিকে (১) সাজঘরে ফেরান হশ হ্যাজেলউড। মাত্র ৯ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আফগানরা। শেষদিকে অবশ্য মারকাটারি ব্যাটিংয়ে অজি শিবিরে আতঙ্ক ছড়ান রশিদ। ১৮তম ওভারে বল করতে আসা রিচার্ডসনকে পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে আফগানদের জয়ের সম্ভাবনা জাগান এ অলরাউন্ডার। পরের ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান হ্যাজেলউডের বলেও।
শেষ ওভারে স্টইনিসকে ২ বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ছক্কা হাঁকালেও দলকে জেতাতে পারেননি রশিদ। আফগানদের ইনিংস থামে জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থেকে। তাকে সঙ্গ দেয়ার মতো একজন ভালো ব্যাটার থাকলে স্বাগতিকদের হারাতে পারত আফগানরা।
এর আগে অ্যাডিলেডে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে অজিরা। দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়ার পথে ঝড় তুলে ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি হাঁকান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩২ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। এছাড়া ৩০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন মিচেল মার্শ।
আফগান বোলারদের মধ্যে নাভিন-উল-হক ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন। আরেক পেসার ফজলহক ফারুকী ২৯ রানের বিনিময়ে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার করেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান।
এ দিকে এ জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে আসলেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় শেষ চার নিশ্চিত নিউজিল্যান্ডের। আর ইংল্যান্ড শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলে সমান ৭ পয়েন্ট নিয়ে অজিদের তুলনায় রান রেটে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ-১ থেকে পৌঁছে যাবে সেমিতে। এ মুহূর্তে লঙ্কানদের জয় ছাড়া আর কোনো কিছু প্রার্থনা করার নেই স্বাগতিকদের।