পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর বর্বোচিত হামলার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) এই হামলার ইমরান ও তার ২ সহযোগীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন।
দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ডন জানায়, শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ইমরানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি এখন সুস্থ বোধ করছেন। সুস্থ বোধ করলেও হাসপাতালে রয়েছেন ইমরান। সেখান থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।
এদিকে ইমরানের ওপর হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে তার দল পিটিআইয়ের সমর্থক ও কর্মীরা। ঘটনার পরপরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন ইমরান সমর্থকরা। পাকিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে শহরে শহরে রাতভর রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সরকার পিটিআই’র ব্যাপক জনসমর্থন দেখে ভয় পেয়েছে। সরকার আমাদের নেতার ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা কি ভেবেছে, এভাবে আমাদের নেতাকে চুপ করাতে পারবে? কখনও না। ইমরান খান ২০ কোটি ২০ লাখ মানুষের নেতা, তাকে দমানো যাবে না।
হামলার ঘটনায় জুমার নামাজের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেয় পিটিআই। ঘোষণা অনুযায়ী, বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পিটিআই সমর্থকদের বিক্ষোভে এখন কার্যত উত্তাল পুরো পাকিস্তান।
হামলার পর পিটিআই নেতা আসাদ উমর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, এ হামলার পেছনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ফয়সাল জড়িত এমনটাই তাদের জানিয়েছেন ইমরান খান।
পিটিআই‘র লংমার্চ চলা অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে বক্তব্য দেয়ার সময় ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক হামলাকারী। গুলি লাগে ইমরান খানের পায়ে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন পিটিআই’র আরেক নেতা ফয়সাল জাবেদসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ছাড়া অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। পিটিআই কর্মকর্তারা জানান, সমাবেশে বক্তব্য শুরু করতে গেলে হঠাৎই ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক আততায়ী।
হামলার পরপরই আটক করা হয় হামলাকারীকে। জিজ্ঞাসাবাদে হামলাকারী জানায়, তার কাছে মনে হয়েছে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেন ইমরান খান। এ জন্য তিনি এ হামলা চালিয়েছেন।
বিরোধী নেতার ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও দেশটির সেনাবাহিনী প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া।