পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইমরানের দল পিটিআইয়ের এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইমরান ও তার দুই সহযোগীসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পিটিআইয়ের মহাসচিব আসাদ উমরের বরাতে দ্য নিউজ ডট কম পিকে জানিয়েছে, হামলার পেছনে জড়িত মূল তিন পরিকল্পনাকারীর নাম বলেছেন ইমরান খান। ইমরান খানকে এখন সাখাওয়াত খানম হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আসাদ ওমর এক ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ইমরান খান তাদের জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং একজন সামরিক কর্মকর্তা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করান। তবে সামরিক কর্মকর্তার নাম বলেননি আসাদ ওমর।
আসাদ ওমর আরও বলেন, ইমরান তাদের জানিয়েছেন এই তিন ব্যক্তিকে অবস্যই তাদের পদ থেকে সরে যেতে হবে। পিটিআই নেতা আরও বলেছেন, ইমরান হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন যদি ওই ৩ ব্যক্তি পদ থেকে সরে না যান তাহলে পিটিআই দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেবে। যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে দলের সব কর্মী ইমরানের ডাকের অপেক্ষায় আছে, এবং তিনি যখন সেই ডাক দেবেন, তখন সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া হামলাকারীকে তাৎক্ষণিক ভাবে ইমরানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই হামলাকারী বলছেন, লোকজন আমাকে ইমরান খানকে নিয়ে বাজে কথা বলে ভুল বুঝিয়েছে। এই কারণে ইমরানকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম।
ওই যুবক আরও বলেন, লংমার্চ লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই আমি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করি। তাকে হত্যা করার জন্য আমি সবটুকু চেষ্টা চালিয়েছি। এদিকে অপর একজন হামলাকারীকে পুলিশ হত্যার দাবি করলেও গ্রেফতার ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না। তিনি একাই ইমরানকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।
পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবিতে লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছেন ইমরান খান। লংমার্চে কনটেইনার ব্যবহার করে বিশেষ গাড়ি তৈরি করা হয়। এই গাড়িতে যাত্রা করেন ইমরান খান।