এবারও পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। চোকারস খ্যাত দলটা নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে এবারও সুপার টুয়েলভ থেকে বাদ পড়ল। ডাচদের দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪৫ রানেই থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। পাশাপাশি এ বিশ্বকাপেও তাদের যাত্রা থেমে গেল এখানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডাচরা জয় পেয়েছে ১৩ রানে।
নেদারল্যান্ডসের দেয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। পাওয়ার প্লের মধ্যেই দলের দুই ওপেনার বাভুমা এবং ডি কক’কে হারায় তারা।
এরপর একে একে মার্করাম, রুশো, মিলারকে হারিয়ে নিজেদের হার নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা। আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছে রুশোর ব্যাট থেকে। তিনি করেন ১৯ বলে ২৫ রান। এছাড়াও ক্লাসেন ২১ এবং মাহরাজ করেছেন ১৩ রান।
ডাচদের হয়ে এদিন সকলেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। তবে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন গ্লোভার। তিনি ২ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন রুশো, মিলার এবং পার্নেলের উইকেট। এছাড়াও দুটি করে উইকেট নিয়েছেন বাস ডি লিড এবং ফ্রেড ক্লাসেন।
এর আগে অ্যাডিলেড ওভালে সহজ প্রতিপক্ষ ভেবে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে পরিকল্পনামতো হয়নি প্রোটিয়াদের বোলিং। উল্টো যেভাবে প্রোটিয়া পেসারদের বিপক্ষে ব্যাট করেছিল তারা, তাতে মনে হচ্ছিল প্রোটিয়াদের সমমানের কোনো দল খেলছে তাদের বিপক্ষে।
স্টেফান মাইবার্গ এবং ম্যাক্স ও’ডাউডের ওপেনিং জুটি থেকেই আসে ৫৮ রান। এরপর মাঝে নরকিয়া এবং মাহরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসের রানে ভাটা পড়ে। তবে উইকেট বাঁচিয়ে রেখে খেলতে থাকে ডাচরা।
শেষের দিকে কলিন অ্যাকারম্যানের অপরাজিত ২৬ বলে ৪১ রান দলের বড় সংগ্রহতে বড় ভূমিকা রাখে। অ্যাকারম্যানের ৪১ ছাড়াও মাইবার্গ করেছেন ৩০ বলে ৩৭ এবং টম কুপার খেলেন ১৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংস।
প্রোটিয়াদের হয়ে ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেয়েছেন মাহরাজ। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন নরকিয়া এবং মার্করাম।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতলেও কোনো সমীকরণেই সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ নেই ডাচদের। সেমিতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তানের। দিনের আরেক ম্যাচে মাঠে নামছে এ দুই প্রতিপক্ষ।