যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমস (নাসামস) আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম চালান পেয়েছে ইউক্রেন। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশটির সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রুশ বাহিনীর হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রকে চাপও দিচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে নাসামসের প্রথম চালান হাতে পেল ইউক্রেন।
কিয়েভ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি নরওয়ে, স্পেন থেকেও তারা এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছে। নাসামস ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
নাসামস মূলত কংসবার্গ ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং রেথিয়ন মিসাইলস অ্যান্ড ডিফেন্সের তৈরি। এটি নেটওয়ার্কভিত্তিক মধ্যম পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য বিশ্বের প্রথম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ১৪ কিলোমিটার উচ্চতার বস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম এটি।
শত্রুপক্ষের বিমানসহ চালকবিহীন আকাশযান ধ্বংস করতে পারে নাসামস। শক্তিশালী ক্রুজ মিসাইলের অবস্থান শনাক্তেও পারদর্শী এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইউক্রেনকে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে এটি সুরক্ষা দেবে বলে জানায় কিয়েভ।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ওমান, লিথুনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কাতার ও হাঙ্গেরিতেও এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনকে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সামরিক সহযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো কিয়েভকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করা। বিশেষ করে, রাশিয়ার ভারী কামানের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কিয়েভের শক্তি বাড়াতে চায় বাইডেন প্রশাসন।