ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা যাচ্ছে। আগামী শনিবার (১২ নভেম্বর) এ গণসমাবেশ হবে। এই গণসমাবেশ সামনে রেখে চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ।
সমাবেশস্থলে আশপাশে সম্মেলনের ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে গেছে মাঠের চারপাশ। মাঠের একপাশে জড়ো করা হয়েছে বাঁশ ও কাঠের খুঁটি। চারদিকে একটা সাজসাজ রব দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সকাল থেকে কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন শ্রমিকরা। গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।
১২ নভেম্বর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশস্থলে আশপাশে সম্মেলনের ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে গেছে মাঠের চারপাশ। এ সময় স্থানীয় একটি ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানের ১০ জন শ্রমিককে সেখানে কাজ করতে দেখা যায়।
নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিক জাফর বলেন, সকাল থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। মঞ্চ দাঁড় করানোর জন্য খুঁটির কাজ চলছে।
নির্মাণকাজের তদারকি করছিলেন মঞ্চ নির্মাণ উপকমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রশিদুল ইসলাম লিটন। তিনি বলেন, সোমবার (০৭ নভেম্বর) প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠ বরাদ্দ পাওয়ার পর কাজ শুরু করেছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা কমবেশি সবাই এসে তদারকি করছেন। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতাও পাচ্ছি। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিয়মিত থাকছেন। রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
ফরিদপুরের আগে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে বিএনপির পাঁচটি বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সমাবেশগুলোর দু-একদিন আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে ফরিদপুরে সমাবেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেল।
সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসা-যাওয়া করছেন বলে জানা গেছে। মাঠে উপস্থিত নেতাকর্মীদের বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে।
রশিদুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘আমরা শুনতে পারছি, ১১ ও ১২ নভেম্বর ফরিদপুরের সব আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে এসব বিষয় নিয়ে আমরা মোটেও ভাবছি না। এই মাঠের আশপাশে অনেক ছোট ছোট মাঠ আছে। আশপাশে নেতাকর্মীদের বাড়িতে ও মাঠে তাঁবু টানিয়ে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।