কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে অপহরণকারী চক্রের কবল থেকে ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে ১৬ এপিবিএন। এ সময় অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত টানা দুদিনের অভিযানে অপহৃতদের উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়।
নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক রাজু আহমদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, টানা দুদিনের অভিযানে বুধবার রাত ১২টায় অপহরণকারী চক্রের চারসদস্যকে আটকের পর বৃহস্পতিবার ভোরে টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকা থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে পৃথকভাবে অপহরণ করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় বাংলাদেশি রয়েছেন। তারা হলেন: উখিয়ার বালুখালীর জামতলীর ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৬), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল এলাকার দিল মোহাম্মদের ছেলে রবিউল আলম (২০), উখিয়ার কুতুপালং বালুমাঠ ক্যাম্পের মো. রশিদের ছেলে আইয়ুব (২৬) ও উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্পের মৃত আবদুল শামার ছেলে আমির হোসেন (৩৪)।
উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা হলেন: টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের বদি আলমের ছেলে মো. ফারুক (১৪), সৈয়দ আলমের ছেলে মো. আলম (১৪), কুতুপালং ক্যাম্পের সুলতান আহমেদের ছেলে একরামুল হাসান (১৭), হোসেন আহমেদের ছেলে তৈমর (১৮), বালুখালী ক্যাম্পের মৃত আবদুল হকের ছেলে মো. রফিক (২৩), মো. নুরের ছেলে মো. জালাল (১৮), মৃত আনোয়ারের ছেলে মোজাম্মেল (২০), হাবিবুল্লাহর ছেলে মো. সাদেক (১২), গুরা মিয়ার ছেলে মো. জুবায়ের (১৫), নুর মোহাম্মদের ছেলে নুর কামাল (২৪) ও আবদুল হকের মেয়ে ফাতেমা (১৪)।
১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক রাজু আহমদ জানান, অপহরণকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কৌশলে অপহরণ করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অপহরণের এমন তথ্য নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ ব্যাপারে মামলা করে আটক চারজনকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইনচার্জের মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, মামলার পর আটক আসামিদের দুপুরে দিকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে।