ছবি: সংগৃহীত
কৃষি উৎপাদন ঠিক রাখতে ইউরিয়া ও এমওপি মিলিয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টন সার কিনছে সরকার। এছাড়া ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ব্রাজিল থেকে আসছে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৩তম সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এদিন সার ও চিনি কেনাসহ মোট ১২টি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তবে বাদ দেয়া হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব।
সভা শেষে সভায় অনুমোদন পাওয়া প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি জনান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনকে (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনাজাত থেকে দশম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ২০১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯২১ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কর্নফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে অষ্টম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৯১ কোটি ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৩৭ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব জানান, সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার কেনার একটি প্রস্তাব টেবিলে উত্থাপিত হলে সেটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বেলগ্রেড থেকে এক লাখ মেট্রিক টন এমওপি সার কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৯০৬ কোটি ৬৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৮৫৪ মার্কিন ডলার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা। যার প্রভাবে দেশীয় বাজারে হু হু করে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে মূল্যস্ফীতি। অস্বস্তিকর এ পরিস্থিতি এড়াতে অভ্যন্তরীণ কৃষি উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।
এদিকে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় বর্তমানে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছে সরকারি সংস্থা টিসিবি। এ কার্যক্রম চালু রাখতে ব্রাজিল থেকে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি আমদানি করছে সরকারি সংস্থাটি। এতে ব্যয় হবে ৬৫ কোটি টাকা।
এছাড়াও এক হাজার ৭৪২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন করবে সরকার। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে এ উন্নয়ন কাজ হবে।
সবমিলিয়ে আজকের বৈঠকে প্রায় ৩ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।