ফরিদপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১২ বছর আগে প্রয়াত সাবেক পৌর কমিশনার ও শহর বিএনপির সভাপতি বাচ্চু মিয়া আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে ওই নেতাকে গ্রেপ্তার জন্য তার বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। আগামী শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। ঠিক তার আগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বাচ্চু মিয়া ২০১০ সালের ২৮ আগস্ট মারা যান। পরে তাকে ওই এলাকার মিয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ওই বাড়িতে ছিলেন বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী আলী, ছেলে মাহির আরাফাত আলী (১৬) ও মেয়ে অন্তরা মালিয়া (২৫)। তবে তারা কেউই রাজনীতি করেন না।
বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী আলী জানান, মঙ্গলবার রাতে পুলিশের দুই সদস্য বাড়ির সামনে এসে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। এ সময় তারা বলেন, আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। দরজা খুলুন, বাচ্চু মিয়া আলীকে ডাকেন আমরা ওনাকে নিতে এসেছি।
এ সময় আমি তাদের বলি, তাকে (বাচ্চু মিয়া) নিতে হলে কবরস্থান থেকে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বেঁচে নেই। তখন পুলিশ সদস্যরা বলেন, দরজা না খুললে, কীভাবে খুলতে হয় তা আমরা জানি। তখন আমি বলি, ‘রাতে দরজা খোলা যাবে না, আপনারা অপেক্ষা করেন সকালে দরজা খুলব। পরে বুধবার সকালে থানায় গিয়ে স্বামীর মৃত্যুসনদ জমা দেই।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ওয়ারেন্ট তামিল করতে গিয়েছিল। বাচ্চু মিয়া নয়, তার ছেলের নামে ওয়ারেন্ট ছিল। আদালত থেকে পাওয়া ওয়ারেন্টেও তথ্যগত ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা ওয়ারেন্টটি যাচাই করে দেখছি।