কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ আগামী ২৪ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এ সময় মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমসহ ওই মামলার পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে প্রিজনভ্যানে তুলে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (আদালত নম্বর-১) আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অপর চার আসামি হলেন: মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমের দুই ভাই মৌলবি জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন, মহেশখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও মো. ইব্রাহিম।
আদালতের এপিপি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম বলেন, আগামী ২৪ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আলোচিত এই হত্যা মামলায় আসামিদের সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
আইনজীবীরা বলেন, দীর্ঘ ৩১ বছর পর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন হয় ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্কে সহায়তা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম মাসুদ আলম চৌধুরী, কক্সবাজার আদালতের এপিপি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম প্রমুখ।
যুক্তিতর্ক শেষে আদালত গত ২৬ মে রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করেন। ১০ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন মামলার ১৬ আসামি। এ মামলার মোট আসামি ২৬ জন। এরই মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন। পলাতক রয়েছেন আরও দু’জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও তরুণ রাজনীতিক খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটা এলাকার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার বাসিন্দা ও মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন, হামিদুল হকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২২ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেন।
২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মামলার বাদী মাহমুদুল করিম বলেন, আগামী ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য আছে। ওই দিন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।