ভোলার চরফ্যাশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়ার তিনদিনেও সন্ধান মেলেনি মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের। তিনি চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম এওয়াজপুর গ্রামের মো. মোছলেউদ্দিনের ছেলে এবং ওই গ্রামের রওজাতুল উলুম মডেল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক। পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ভোলার শহরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ ফয়জুল্লাহর মা হোসনে আরা বেগম বলেন, ২০১৯ সালের দিকে তার ছেলে ফয়েজ গ্রামের রওজাতুল উলুম মডেল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এতদিন ভালোই চলছিল। গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে প্রতিদিনের মত ফয়েজ মাদ্রাসায় যায়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে একটি মোটরসাইকেল (নম্বর-৩৫৫৫৯৬) ও একটি মাইক্রোবাসে (নম্বর-৮৩৪২৬০০) ৬-৭ জন লোক মাদ্রাসায় আসে। তারা তাদের ছেলেকে এ মাদ্রাসায় ভর্তি করবে বলে ফয়েজকে মাদ্রাসা থেকে বের করেন। পরে তারা ফয়েজকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা দেখে ফেলে। তখন তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে ফয়েজকে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরেই আমরা শশীভূষণ থানায় খোঁজ নিলে পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে দাবি করেন। এরপর আমরা ওই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ ফয়েজের বাবা মো. মোছলেউদ্দিন, ছোট ভাই মো. আবু জাফর ও তার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, নিখোঁজের পরিবার থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।