প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী সদরে বান্ধবীর সঙ্গে পার্কে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক ছাত্রী। পরে বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা বকাঝকা করলে অভিমানে বিষপান করে ভুক্তভোগী। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে তিনি।

শনিবার (১২ নভেম্বর) নোয়াখালীর সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শনিবার (৫ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।

পরিবারের দাবি, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গত ৫ নভেম্বর প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে নোয়াখালী সদরের টক্কর বাজার এলাকায় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়েছিল নবম শ্রেণিরপড়ুয়া ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে দুই বান্ধবীসহ যায় স্থানীয় একটি পার্কে। এ সময় সেখানে দুই সহযোগী নিয়ে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে রাকিব নামে পূর্বপরিচিত এক যুবক।

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, এ ঘটনার দিন বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শেষে পরদিন সোনাপুর কলেজের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে। পরে ভুক্তভোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে। এ সময় সেখানে পরিবার ও এলাকার মাতব্বররা বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীকে বকাঝকা করলে বাড়ি ফিরে অভিমানে বিষপান করে সে।

পরিবারের এক সদস্য জানান, রাকিব ও তার দুই সহযোগী মিলে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। ভুক্তভোগীর কাছে বাকিদের তথ্য জানতে চাইলে আর কারও নাম বলতে পারেনি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. ইমরান হাসান জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। এ কারণে চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। তবে তিন-চার দিন পর তার অবস্থা আরও ভালোভাবে বলা যাবে।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের এ ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।