ভয়াল ১২ নভেম্বর স্মরণে ভোলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সেচ্ছাসেবক সমাবেশ, বহুমাত্রিক দুর্যোগ মহড়া, পালাগান ও আলোচনাসহ দিবনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘শোক থেকে শক্তি’ শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে মাঠ পর্যায়ের কাজে জড়িত কয়েক হাজার কর্মী অংশ নেন।
ভোলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিখা সরকার।
জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ও স্মৃতিচারণ করেন, সিপিপির সদর দফতরের পরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান, জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহীম খলিল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিবেক সরকার, ’৭০-এর সময়কার পূর্বদেশ পত্রিকার সাংবাদিক ও বর্তমানে ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক কমিশনার আনোয়ার হোসেন, প্রবীণ সাংবাদিক এম এ তাহের, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, রেডক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
স্মৃতিচারণ শেষে সিপিপি সাংস্কৃতিক ইউনিট পালাগান পরিবেশন করে। এরপর সিপিপির পরিচলিত বহুমাত্রিক দুর্যোগ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। শেষে সিপিপির ছয়জন প্রবীণ সদস্যের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ সময় সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টে স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আঘাতে সারা দেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। শুধু ভোলাতেই মারা যান কমপক্ষে পাঁচ লাখ মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলের চার লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হন ৩৬ লাখ মানুষ।