সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আলোচিত যুবক ঝুমন দাস আপন কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
ফেসবুকে ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট শেয়ার দেয়ার অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট ঝুমন দাসকে হেফাজতে নেয় শাল্লা থানা পুলিশ। প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ৩০ আগস্ট সকালে নোয়াগাঁওয়ের তার বাড়ি থেকে তাকে আটকের পর সারাদিন থানায় রাখা হয়। মধ্যরাতে শাল্লা থানার উপপরিদর্শক সুমনুর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
ঝুমনের স্ত্রী সুইটি দাশ জানান, ঝুমন ধর্ম অবমাননাকর কোনো পোস্ট দেননি। তারপরও দ্বিতীয়বারের মতো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জে একটি মন্দিরের সামনে মসজিদের দানবাক্স লাগানোর পোস্ট শেয়ার দেয়ার অভিযোগে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেফতার করে পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফের গ্রেফতার হওয়া সুনামগঞ্জের ঝুমন দাস অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন।
সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে থেকে বের হন ঝুমন। কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত আমি। দেশ যেহেতু স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে, তবে আমি চাই বাক স্বাধীনতা। যেন এটি সুন্দরভাবে প্রকাশ করা যায়। আমি আমার বাক স্বাধীনতা প্রকাশ করতে চেয়েছি, কোনো অপরাধ করিনি।’
ঝুমন দাস আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন তা আমি অবশ্যই মেনে চলব। যে শর্তগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো আমি দেখেছি এবং তা আমি পালন করব।’
ফেসবুকে উসকানিমূলক ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন পোস্ট না দেয়ার শর্তে গত ১৩ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান সুনামগঞ্জের শাল্লার এই যুবক।