ভারত মহাসাগরের আশপাশের ১৯টি দেশের সঙ্গে গত সপ্তাহে একটি বৈঠকের আয়োজন করে চীন। তবে সে তালিকায় ভারতের নাম ছিল না। রোববার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (সিআইডিসিএ) নামে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা গত ২১ নভেম্বর চায়না-ইন্ডিয়ান ওশান রিজিওন ফোরাম অন ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। এতে ১৯টি দেশ অংশ নেয়।

এতে আরও বলা হয়, ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ে ‘শেয়ারড ডেভেলপমেন্ট: থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস ফ্রম দ্য পারসপেকটিভ অব দ্য ব্লু ইকোনমি’ থিমের অধীন মিশ্র পদ্ধতিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আমন্ত্রিত দেশগুলোর মধ্যে ছিল ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপাল, আফগানিস্তান, ইরান, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, সেশেলস, মাদাগাস্কার, মরিশাস, জিবুতি ও অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া বৈঠকে তিনটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

গত বছর ভারতের অংশগ্রহণ ছাড়াই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সহযোগিতার বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিল চীন।

সিআইডিসিএ-র নেতৃত্বে রয়েছেন লুও ঝাওহুই। তিনি চীনের সাবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভারতে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন।

সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, লুও ঝাওহুই সিআইডিসিএ-র সিপিসি (চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি) লিডারশিপ গ্রুপের সচিব।

সিআইডিসিএ-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট জানিয়েছে, বিদেশি সাহায্যের জন্য কৌশলগত নির্দেশিকা, পরিকল্পনা এবং নীতি প্রণয়ন করা, প্রধান বৈদেশিক সাহায্য সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয় করা এবং পরামর্শ দেয়া, বিদেশি সাহায্য সম্পর্কিত বিষয়ে দেশের সংস্কারকে এগিয়ে নেয়া এবং প্রধান কর্মসূচি চিহ্নিত করা, তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়ন করা এবং তাদের বাস্তবায়ন করাই সংস্থার লক্ষ্য।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা সফরের সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ‘ভারত মহাসাগরের দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে একটি ফোরাম’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন।

সিআইডিসিএ বৈঠকটি ওয়াংয়ের সেই প্রস্তাবিত একই ফোরাম কি না–জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ২১ নভেম্বরের বৈঠক সেই প্রস্তাবের কোনো অংশ ছিল না।

সিআইডিসিএ-র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২১ নভেম্বরের বৈঠকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীন এবং দেশগুলোর মধ্যে একটি সামুদ্রিক দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং প্রশমনে সহযোগিতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে বেইজিং।

এতে আরও বলা হয়, চীন এ অঞ্চলের দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় আর্থিক, উপাদান এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত।