বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই। কিন্তু দেশের মানুষ আর সহ্য করবে না। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ শুনে সরকারের বুক দুরুদুরু করে কাঁপছে। কারণ সরকার বুঝে গেছে তাদের পতন অনিবার্য। এ ডিসেম্বরে নতুন করে গণতন্ত্রের বিজয় পতাকা উড়বে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ইসলামী ব্যাংক ফাঁকা করে ফেলেছে। অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সব ব্যাংক থেকে ১০-১২ লাখ হাজার কোটি টাকা এ দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। টাকার অভাবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা যাচ্ছে না। দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। সবকিছু অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। তারা আমাদের সমাবেশ করতে ২৬টি শর্ত দিয়েছে। কিন্তু তাদের জানিয়ে দিতে চাই মানুষ এখন ঘরে থাকতে চায় না। শর্ত মানতে চায় না। এ সরকারের হাত থেকে মানুষ এখন মুক্তি চায়। একজন কৃষক কষ্ট করে ক্ষেতের ফসল ফলায়। অথচ ২৫ হাজার টাকার জন্য কৃষকদের কোমরে দড়ি দিয়ে জেলে দেন। কিন্তু হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারীদের কিছু বলেন না। সোনার বাংলা নাম দিয়ে এ কেমন বাংলাদেশ আপনারা উপহার দিচ্ছেন।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ‘খুলনাসহ সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে। সময় শেষ হয়ে এসেছে। জনগণ জেগে উঠেছে। সব অপরাধের বিচার করা হবে। তারা এখন গায়েবি মামলা দিচ্ছে। এ সমস্ত গায়েবি মামলার ভয় বিএনপি পায় না। ১০ তারিখ ঢাকা পল্টনে ২৫ লাখ মানুষ সমাবেশে অংশ নেবে। ঠিকভাবে সমাবেশ করতে না দিলে কঠোর জবাব দেয়া হবে।’
সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মনিরুল হাসান বাপ্পি, আবু হোসেন বাবু, জুলফিকার আলী জুলু, কাজী মাহমুদ আলী, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান ও মো. মুজিবর রহমানসহ জেলা নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।