দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ইরান সরকার প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে। দেশটির একটি নিরাপত্তার সংস্থার বরাতে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। দাঙ্গার ফলে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালানোর সময় বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই ‘দাঙ্গাকারী’ এবং ‘সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সদস্য’।
নিরাপত্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, নিরাপরাধ ব্যক্তি যারা নিহত হয়েছে তারা নিরাপত্তা বিশৃঙ্খলার মাঝে মারা গেছেন। তবে কীভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানাননি।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষ জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ সহিংসতায় তিন শতাধিক লোক নিহত হয়েছে স্বীকার করার কয়েকদিন পর দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষেদ সংস্থা দুই শতাধিক মানুষ নিহতের কথা জানাল।
তবে ইরানে সরকারবিরোধী সহিসংতায় চার শতাধিক মানুষ মারা গেছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে।
সঠিকভাবে হিজাব না করার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন থেকেই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে ইরানজুড়ে। সেই আন্দোলন এখনও চলছে। ইরানের পক্ষ থেকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিদেশি শত্রু ও তাদের প্রতিনিধিদের দায়ী করা হয়।