নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মকবুল হোসেন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ২১ জন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। একজনের মরদেহ ঢামেকের মর্গে আছে। একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজন ভর্তি আছেন। তবে তারা শংকামুক্ত। আহতদের চিকিৎসার জন্য কুইক রেস্পন্স টিম প্রস্তুত বলেও জানান পরিচালক।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মকবুলের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস শেল ছুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢামেকে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিকেল ৪টায় মকবুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এদিকে স্বজনদের দাবি মকবুল রাজনীতির সাথে জড়িত না, তিনি ব্যবসায়ী। মকবুলের স্ত্রী জানান, কেউ একজন তাকে (মকবুল) ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর আর কিছু জানেন না।