মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস
রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। মস্কোর অভিযোগ, হামলা বৃদ্ধি করতে পশ্চিমারাই মদদ দিচ্ছে কিয়েভকে। এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রুশ সীমান্তে ইউক্রেনের হামলার ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নয় যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার তৃতীয় কোনো বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী। যদিও এ ঘটনায় এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় নি মস্কো
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে দুটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইউক্রেন। মানুষবিহীন ড্রোন ব্যবহার করে সীমান্ত থেকে শত শত মাইল দূরে রুশ ভূখণ্ডের ভেতরে ওই হামলা চালানো হয়। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী কুরস্ক শহরের বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি তেলের গুদামে আরেকটি ড্রোন হামলা হয়েছে। এসব হামলা কিয়েভই ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মস্কোর অভিযোগ, ইউক্রেনীয় বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন সেনাবাহিনী। হামলায় অন্তত ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
শহরটিতে রুশ নিযুক্ত মেয়র জানান, হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের নিহত হয়েছেন। কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলায় কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর মধ্যেই পশ্চিমাদের কারণেই কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে মস্কো।
মস্কোর অভিযোগ, হামলা বৃদ্ধি করতে পশ্চিমারাই মদদ দিচ্ছে কিয়েভকে। যদিও এমন অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, রুশ সীমান্তে ইউক্রেনের হামলায় ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নয় যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেনকে সীমানার বাইরে হামলা চালাতে উৎসাহিত করছি না। বিশ্ব যা করছে তা ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্যই করছে। আমরা যা করছি সবই ইউক্রেনের স্বাধীনতার জন্যই।
এদিকে যুদ্ধবন্ধে শান্তি আলোচনা নিয়ে আবারও পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে রুশ প্রতিনিধির দাবি, মস্কো আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকলেও নিজেদের স্বার্থে ইউক্রেনকে রাজি হতে বাধা দিচ্ছে পশ্চিমারা।
অন্যদিকে মার্কিন প্রতিনিধির দাবি, ইউক্রেনের বিভিন্ন অবকাঠামোয় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হামলা প্রমাণ করে যে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধবন্ধের কোনো আগ্রহ নেই।