ছবি: সংগৃহীত
পশ্চিমবঙ্গের দর্শকপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। ঝটিকা সফরে সম্প্রতি এসেছিলেন ঢাকায়।
একান্ত আলাপে বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন মনামী। আলাপের চুম্বক অংশটুকু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো–
নাচের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?
আমাদের বাড়িতেই। একটা স্কুল ছিল, নন্দন। নাচ, ড্রইং, যোগব্যায়াম শেখানো হতো। বাবার হাত ধরেই শেখা। শেখতে শেখতে বুঝে গেলাম নাচটাই আমার পেশন।
‘বেলা শেষে’ সিনেমাটি আপনার ক্যারিয়ার ঘুরিয়ে দিয়েছিল, একমত?
হুম। ওয়ান অব দ্য টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন। আমার অভিনয়জীবনের বেশ কয়েকটি টার্নিং পয়েন্ট আছে। তার মধ্যে ‘বেলা শেষে’ আর এ বছর মুক্তি পাওয়া ‘বেলা শুরু’ অন্যতম।
আপনি তো গানও করেছেন। গানে আসার গল্পটা কী ছিল?
গান করার চিন্তা আলাদা করে মাথায় আসেনি। আমার আসলে স্টেজ পারফর্ম করতে ভালো লাগে। বিভিন্ন কনসার্ট আমাকে ফ্যাসিনেট করে। লাইভ পারফম আমি এনজয় করি। সেগুলো থেকেই গান করার ইচ্ছা জাগে।
বাংলাদেশে সিনেমা করার ইচ্ছা আছে?
নিশ্চয়। ভালো গল্প পেলে অবশ্যই করব। আমি তো বসিরহাটের মেয়ে। ছোটবেলায় আমি বাংলাদেশের অনেক নাটক দেখেছি। আমাদের বসিরহাটে বাংলাদেশের একটি চ্যানেল দেখা যেত। শমী কায়সার, আবুল হায়াত ওনাদের নাটক দেখেছি। ভীষণ ফ্যান ছিলাম। তখন খুব নাটক দেখতাম।
এখন বাংলাদেশের নাটক দেখা হয় না?
এখন আসলে সে রকমভাবে নাটক দেখা হয় না। তবে নেটে মাঝেমধ্যে দেখি। চঞ্চল চৌধুরী ভালো কাজ করছেন, ওনার কাজ দেখেছি, অপূর্বর ভালো ফ্যান আমি। ওর অভিনয় খুব ভালো লাগে। মোশাররফ করিমের কমিক টাইমিং ভালো লাগে। ওনার অভিনয়ও দুর্দান্ত। এ ছাড়া আরও অনেককে ভালো লাগে। সুযোগ হলে ওনাদের সঙ্গে কাজের ইচ্ছাও আছে।
বড় পর্দার কাজ কি অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন?
গত চার-পাঁচ বছর ধরে নিজের পছন্দমতো কাজ করছি। আমার যেটা পছন্দ হচ্ছে সেটা করছি। নিজের ভালো না লাগলে করছি না, এ জন্য মনে হচ্ছে পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি। বড় পরিসরে কাজ করলে আসলে ভালো লাগে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য কী করছেন?
অনেক প্রজেক্টের কথাবার্তা চলছে। যদি পছন্দমতো হয় তাহলে অবশ্যই কাজ করব।