কোথায় হবে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ? সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নয়াপল্টন নাকি অন্য কোথাও? এ নিয়ে আলাপ-আলোচনার মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আটক হয়েছেন রুহুল কবির রিজভী ও আমানউল্লাহ আমানসহ দলটির তিন শতাধিক নেতাকর্মী। সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর সোয়াত ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট নিয়ে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে দলটির নয়াপল্টনের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় কার্যালয়ের সামনে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভেতরে ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তার কারণে শুরুতে তাকে অনুমতি দেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর প্রায় ২০ মিনিট পর ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিলেও ফুটপাতে বসে পড়েন মির্জা ফখরুল। এ সময় অল্প কয়েকজন নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন। রাত ৮টার দিকে নয়াপল্টন থেকে চলে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাত সোয়া ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে বের করে আনা হয় বেশ কয়েকটি ককটেল। এ সময় কার্যালয়ের ভেতরে কয়েকটি হাঁড়িতে রান্না করা খিচুড়ি দেখা যায়, যা রাখা ছিল নেতাকর্মীদের বিতরণের জন্য।
উদ্ধার করা অবিস্ফোরিত ককটেল রাত ৯টার দিকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এনে রাখে বোম ডিসপোজাল ইউনিট। সরিয়ে নেয়া হয় আশপাশের মানুষকে। পরে বালুর বস্তা দিয়ে ঘিরে একে একে অবিস্ফোরিত ককটেল নিষ্ক্রিয় করা হয়।
রাত ৯টার পর নাইটঅ্যাঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এরপর থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে তখন বসে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে বিএনপি কার্যালয়ের কর্মচারীদের। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়জুড়েও দেখা গেছে সুনসান নীরবতা।