ফাইল ছবি
সকালে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে নতুন নিয়োগ পাওয়া তিনজন বিচারপতির সংর্বধনা চলছিল। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ৮ জন বিচারপতি বিচারকের আসনে ছিলেন। পুরো এজলাস কক্ষ আইনজীবী পরিপূর্ণ ছিল। রীতি অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে একে একে নতুন বিচারপতিদের গৌরবময় কর্মজীবন তুলে ধরছিলেন।
এ সময় হঠাৎ অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলে ওঠেন, পেছন থেকে ছবি তুলছে। তখন সবার দৃষ্টি চলে যায় পেছনের দিকে। সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির পেছনের দিকের আইনজীবীদের কাছে গিয়ে বলেন, যে ছবি তুলেছেন এখনই ডিলিট করুন। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘এজলাস কক্ষের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলে তার বিরুদ্ধে কনটেম্পট (আদালত অবমাননা) অভিযোগ আনা হবে। আদালতে আমরা উপস্থাপন করব। এরপর যথরীতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।’
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের আপিল, হাইকোর্ট বিভাগসহ সব আদালতের এজলাস কক্ষের ছবি ওঠানো ও ছবি প্রকাশ করা যায় না।
এ বিষয়ে আইনগত বাধা রয়েছে।
সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।
সুপ্রিম কোর্টের রীতি অনুযায়ী, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির নতুন বিচারপতিদের গৌরবময় কর্মজীবন পড়ে শোনান।
এরপর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতি ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তার নির্দেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি ছিলেন। নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগের মাধ্যমে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল নয় জনে।