রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষে চলছে স্লিপার বসানোর কাজ। নির্ধারিত সময়ের আগেই এতে স্লিপার বসানোসহ সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুর পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণ শেষে দ্রুততার সঙ্গে চলছে সেতুর ওপর স্লিপার বসানোর কাজ। এরই মধ্যে বসানো হয়েছে ৭টি স্প্যানের সব কটি।
রেলসেতুর ভায়াডাক্টের ৮৫৬টি পাইলের সব কটিই বসানো হয়েছে। মূল সেতুর পাইল ৭২টি, পাইল ক্যাপ ৮টি, বিয়ারিং ৩২টি সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটির উপরিভাগ তৈরি করা হয়েছে স্টিলের গার্ডার এবং আরসিসি ডেকের সমন্বয়ে। ভারত সরকারের ঋণসহায়তায় খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের রেলপথ বসানোর কাজ করছে ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
ইরকন ইন্টারন্যাশনালের সহকারী ব্যবস্থাপক অসীম কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘খুলনা-মোংলা রেললাইনের ৯১ কিলোমিটারের মধ্যে ৭০ কিলোমিটার রেলপথ বসানো হয়েছে। এর মধ্যে রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতুতে রেল স্লিপার বসানোর কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করি।’
এদিকে রেলপথ চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে বলে মনে করেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মফিদুল ইসলাম টুটুল। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মোংলা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের। এটি চালুর মাধ্যমে আমাদের ব্যবসার প্রসার ঘটার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে আমরা লাভবান হতে পারব।’
খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন মাসুম বলেন, ভারত সরকারের ঋণসহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো। রেলপথ প্রকল্পটির রূপসা রেলসেতু বাদেও খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগনালিংয়ের কাজ চলছে। ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ বসেছে। এ ছাড়া ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট নির্মাণ এবং খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।