ভারতের রাজস্থানের কোটায় তিন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। পড়ালেখার চাপে তারা আত্মহত্যা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই তিন শিক্ষার্থী। নিহত শিক্ষার্থীদের বয়স যথাক্রমে ১৬, ১৭ ও ১৮ বছর।
ভিন্ন ভিন্ন রাজ্য থেকে রাজস্থানের কোটায় এসেছিল তারা। তাদের মধ্যে অংকুশ ও উজ্জ্বল নামে দুই শিক্ষার্থী বিহার থেকে এসেছিল। তারা একই ছাত্রাবাসের পাশাপাশি ঘরে থাকত।
একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যজন মেডিকেল ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আত্মহত্যঅ করলেও তাদের কক্ষ থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তৃতীয় শিক্ষার্থীর নাম প্রণব। সে মধ্যপ্রদেশ থেকে এসেছিল। মেডিকেল ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে।
প্রতিবছর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে রাজস্থানের কোটায় আসে অনেক শিক্ষার্থী। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেয় তারা।
তবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে প্রায়ই অতিরিক্ত চাপ দেয়ার অভিযোগ করে শিক্ষার্থীদের অনেকেই। এর আগেও কোটায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণে প্রশাসন কাউন্সেলিংয়ের জন্য হেল্পলাইনও খুলেছে। কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
২০১৬ সালে আইআইটির ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পরও আত্মহত্যা করেছিলেন এক ছাত্রী। মৃত্যুর আগে আঙুল তুলেছিলেন কোটার সব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো যাতে পাঠ্যক্রমের চাপ কমায়, সে জন্য আইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল রাজস্থান সরকার। আইনের খসড়া তৈরির জন্য ২০১৯ সালে একটি কমিটিও করা হয়। তবে সেই খসড়া এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।