গাইবান্ধায় দাফনের প্রায় দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে চান্দু মিয়া ( ৬৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
এ সময় গাইবান্ধার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা গুহ ইভা ও সদর থানার ওসি (তদন্ত) ওয়াহেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মৃত কৃষক চান্দু ওই গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান জানান, স্ত্রী শোভা বেগমের দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহাবশেষ গাইবান্ধা সদর হাসপপতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে প্রতিবেশী মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মতিন মিয়া ও তার লোকজনের সঙ্গে চান্দু মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে উভয়পক্ষের একাধিক মামলা চলমান।
চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্থানীয় বালাআটা বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন চান্দু। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রতিপক্ষের বাড়ির পাশে চান্দুকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এ সময় তাকে উদ্ধার করে বালাআটা বাজারের এক চিকিৎসালয়ে নিলে ডাক্তার চান্দুকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
পরদিন সকালে অভিযুক্তরা কৌশলে চান্দু মিয়ার সাধারণ মৃত্যু দাবি করে মরদেহ দাফন করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শোভা বেগম ২৮ অক্টোবর সদর থানায় মামলা করতে গেলে দায়িত্বরত অফিসার থানায় মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলার পরামর্শ দেন।
পরদিন চান্দুকে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে মতিন মিয়াসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন শোভা।
শোভা বেগমের অভিযোগ, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদীদের সঙ্গে বিরোধসহ মামলা চলছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকেরাই পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।