চার দলের বর্তমান অধিনায়ক
ফিফা বিশ্বকাপে সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের। দুদলের শোকেসে রয়েছে চারটি ট্রফি। সেমিফাইনালের মঞ্চেও অনেকবার উঠেছে দুই জায়ান্ট। আর চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও লড়াকু দল ক্রোয়েশিয়া। গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়াটরা। অন্যদিকে, স্বপ্নযাত্রা অব্যাহত আছে এবারই প্রথম সেমিতে ওঠা মরক্কোর।
৩২ দলের লড়াই এখন ৪ দলের। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। এলিট স্টেইজে এবারই প্রথম পা রাখল মরক্কো। তবে বাকি ৩ দলের জন্য এটা প্রথম নয়। তবুও মেগা ইভেন্টের সেমিফাইনাল নিয়ে রোমাঞ্চের কমতি নেই আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার। মেগা ইভেন্টের সেমিফাইনাল নিয়ে রোমাঞ্চের কমতি নেই আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া ও মরক্কোর।
স্বপ্নের বিশ্বকাপে ৯২ বছরের ইতিহাসে এই ৪ দলের যাত্রায় লড়াইয়ের গল্প আছে অনেক। জনপ্রিয়তা, সাফল্য, ফুটবলশৈলীতে সবার চেয়ে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ১৯৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিয়েই শিরোপার খুব কাছে গিয়েছিল তারা। হয়েছিল রানার্সআপ।
এবারের আসরসহ মোট ১৮ বার অংশ নিয়ে ৫ বার ফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যার মধ্যে ১৯৭৮ ও ৮৬ সালে পেয়েছে শিরোপার স্বাদ। ইতিহাস বলছে, কোনোবারই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়নি আলবিসেলেস্তেদের। বিশ্ব মঞ্চে এবারও তাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ১০ গোল নিয়ে যৌথভাবে আকাশি-নীলদের সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসি। দেশের হয়ে ম্যাচ সংখ্যাতেও এগিয়ে এলএমটেন। খেলেছেন ২৪ ম্যাচ।
বিশ্বকাপে সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে আরেক ফেবারিট ফ্রান্সেরও। এ নিয়ে ১৬তম বারের মতো অংশ নিচ্ছে তারা। ১৯৯৮ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফরাসিরা। আর সবশেষ ২০১৮ আসরেও সেরার মুকুট মাথায় পড়েছে তারা। এ ছাড়া একবার হয়েছে রানার্সআপ। সেরা চারে এর আগে ৬ বার উঠে তিনবারই বিদায় নিয়েছে ফ্রান্স। বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপ্পের পায়ে ভর করে ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ইউরোপীয় জায়ান্টদের।
আরেক ইউরোপীয় দল ক্রোয়েশিয়া কখনো শিরোপার স্বাদ না পেলেও সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নয়। ১৯৯৮ সালে প্রথম অংশগ্রহণেই বিশ্বকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনাল খেলেছিল তারা। আর সবশেষ আসরে হয়েছে রানার্সআপ। এবার সেভাবে স্পটলাইটে না থাকলেও ঠিকই টপ ফোরে জায়গা করে নিয়েছে। মদ্রিচ-পেরিসিচদের কাঁধে চেপে লাল-সাদা উৎসবের স্বপ্ন দেখছে ক্রোয়াটরা।
এরই মধ্যে কয়েক দফা উৎসব করে ফেলেছে আসরের চমক মরক্কো। প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপে এতটা পথ পাড়ি দিয়েছে তারা। তবে এখনো থামতে চায় না উজ্জীবিত দলটা। বেলজিয়াম-স্পেন-পর্তুগাল বধ করা মরক্কানরা অপেক্ষায় মহোৎসবের। হাকিমি-নেসিরি-জিয়েখরা কি তাদের সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন? নাকি জায়ান্ট তকমাধারী ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা কিংবা ক্রোয়েশিয়াই ছিনিয়ে নেবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ট্রফি?