পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে দেন দরবার করছে বিএনপি। তাই প্রকৃত সত্য জানাতে বিদেশি দূতাবাসগুলোকে চিঠি দিয়েছে সরকার। সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবে উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশকে ভুল তথ্য দিচ্ছে বিএনপি। সমাবেশপরবর্তী সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) পশ্চিমা দূতাবাসগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নতুন নয়, দেশে কিছু ঘটলে আমরা সবাইকে জানিয়ে রাখি। এটা স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার মধ্যে পড়ে। অতীতেও এটা হয়েছে। আমরা দেখেছি সাতদিনই বিএনপি তাদের (কূটনীতিকদের) সঙ্গে বৈঠক করেছে। দেশে নির্বাচনের আগে এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে যেন কোনো ভুল তথ্য বা শঙ্কা না থাকে, তাই আমাদের উচিত প্রকৃত তথ্য তাদের (কূটনীতিকদের) জানিয়ে দেয়া।’
তিনি বলেন, বিএনপি দেশে-বিদেশে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছিল; কারণ বড় কিছু দেশ ৯ ডিসেম্বর নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি লবিস্টদের জন্য কোটি কোটি ডলার ও পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে, যারা তাদের আশ্বস্ত করেছে যে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। এটিকে কেন্দ্র করে তারা একটি সেলিব্রেশনের মুডে ছিল এবং প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে সরকারের কোনো বন্ধু নেই।
শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিএমপি কমিশনার এবং অন্যরা বলেছেন যেকোনোভাবেই বিএনপির সমাবেশে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সরকার সে নিশ্চয়তা দেবে। কিন্তু তারা সেটা না মেনে অতি উৎসাহিত হয়ে ৭ তারিখ থেকে রাস্তাঘাট ব্যারিকেড দিয়ে দখল করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিএনপিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশের জন্য অনুমতি দিয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো একটি ঐতিহাসিক স্থানে বিএনপি সমাবেশ করতে চায়নি তার প্রথম কারণ হলো, তাদের যে নৈতিক স্খলন হয়েছে তার সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্পিরিট মেলে না। দ্বিতীয়ত, তারা এতসংখ্যক মানুষের সমাবেশ সেখানে করতে পারবে না।
সমাবেশ ও পরিকল্পনা আশানুরূপ না হওয়ায় বিএনপি হতাশ বলেও মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।