বিশেষ কোনো দিন, ঘটনা বা বিখ্যাত কোনো ব্যক্তিকে সম্মান জানানোর জন্য গুগল সাধারণত তাদের প্লাটফর্মের মূল পাতায় নিজস্ব লোগোর বদলে একটি শৈল্পিক লোগো প্রকাশ করে। যাকে গুগল ডুডল বলা হয়ে থাকে।
একইভাবে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) মারিয়া টেলকেস নামে এক নারীকে সম্মাননা জানায় গুগল। প্রশ্ন হচ্ছে, কে এই মারিয়া টেলকেস? মারিয়া টেলকেস হাঙ্গেরী বংশোদ্ভূত এক মার্কিন বিজ্ঞানী। মূলত সোলার এনার্জি তথা সৌরশক্তি প্রযুক্তিতে ব্যাপক অবদানের জন্য বিখ্যাত তিনি।
সৌর ডিস্টিলারের পাশাপাশি বাসস্থানের জন্য ডিজাইন করা প্রথম সৌর-চালিত ‘হিটিং সিস্টেম’ আবিষ্কার করেছিলেন টেলকেস। সোমবার ছিল ১২২তম জন্মবার্ষিকী। আর তাই এদিন তার সম্মানে গুগল ডুডলে নিজেদের লোগো বদলে নতুন লোগো প্রদর্শন করে।
মারিয়া টেলকেসের কৃতিত্ব
১৯০০ সালের ১২ ডিসেম্বর হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন মারিয়া। সৌরশক্তি নিয়ে তার অসামান্য অবদান আজও বিজ্ঞান মহলে বহুল আলোচিত। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, সূর্য থেকে নির্গত শক্তি মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। তার এই নিজস্ব বিশ্বাস থেকে দীর্ঘদিন এ ব্যাপারে গবেষণা চালান তিনি। বিজ্ঞানী মারিয়া বিশ্ব দরবারে ‘সান কুইন’ নামে পরিচিত।
১৯২০ সালে বুদাপেস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভৌতবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন মারিয়া। ১৯২৪ সালে তিনি পিএইচডি শেষ করেন। লেখাপড়া শেষ করে তিনি পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি বায়োফিজিসিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন।
তিনিই প্রথম নারী যিনি ‘দ্য সোস্যাইটি অফ উইমেন ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাওয়ার্ড’ পান। ১৯৫২ সালে এই পুরস্কার পান তিনি। মার্কিন সরকারের হয়ে তিনি বেশ কিছু কাজ করেন।
এর মধ্যে সোলার ডিস্টিলার বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই যন্ত্র সমুদ্রের জলকে মিষ্টি জলে পরিণত করে। পানীয় জলের কোনও সমস্যা দূর করতে এই আবিষ্কার যুগান্তকারী। এছাড়াও তিনি সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে একাধিক আবিষ্কার করেছেন, যা মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন করে দিয়েছিল।