ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে পানির উৎসগুলো শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। বেশকিছু এলাকায় পানির স্তর কমে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। দেশটির শিল্প-সংস্কৃতিসহ পর্যটন খাত হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য হিন্দুর।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ইন্দোনেশিয়ার বালি ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের স্থান। প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ভিড় করেন সেখানে। সম্প্রতি, তীব্র খরার কবলে পড়েছে সৌন্দর্যমণ্ডিত অঞ্চলটি। বালিতে পানির জোগান আসে লেক, নদী ও ভূগর্ভস্থ থেকে। তবে খরার কারণে উৎসগুলো শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। গবেষণা সংস্থা, আইডিইপির তথ্যমতে, কোনো কোনো এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৫০ মিটার পর্যন্ত কমে গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। কমে গেছে ফসলের উৎপাদন।
বালিতে ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রপাড়ে সময় কাটান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু খরার কারণে সমুদ্রের পানিও কমতে শুরু করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বালিতে ইউনেসকো স্বীকৃত দর্শনীয় বিভিন্ন স্থান হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। পর্যটকদের আনাগোনা কমে গেলে দেশটির পর্যটন খাতসহ শিল্প সংস্কৃতির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পানির অভাবে বড় বড় গাছ মরে যাচ্ছে। ধানসহ অন্যান্য শস্য উৎপাদনও অনেক কমে গেছে। লেকের পাশে সাধারণত মন্দিরগুলো স্থাপিত হয়। কিন্তু সেই হ্রদের পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে।
এ পরিস্থিতির জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পানি সংরক্ষণে অব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলোকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।