বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল সরবরাহের পাইপলাইন প্রকল্পের মেয়াদ এক দফায় বাড়ানোর পরও মাত্র ৬০ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কোভিডের ধাক্কা লাগায় কাজ শেষ হতে আরও দুই বছর লাগবে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এসও এলাকায় মেঘনা ডিপোতে ঢাকা-চট্টগ্রাম তেলের পাইপলাইন স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে আমাদের প্রায় দুটি বছর নষ্ট হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি মোটামুটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রকল্পের খরচও বাড়িয়েছি। তারপরও আমি মনে করি, এটি একটি যুগান্তকারী কাজ হবে। আগামী দুই বছরের দ্রুততম সময়ে এ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে। এতে দ্রুততম সময়ে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া এটি ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।’
তেল পাইপলাইনে নিরাপত্তার বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে পাইপলাইনটি রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘পাইপলাইনের ভিতরে তেলের তাপমাত্রার সামান্যতম পরিবর্তন হলেও তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’
এদিকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে জ্বালানির দাম ঠিক করার বিষয়ে আগামী মাসের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন প্রতিমন্ত্রী।
তুলনামূলক কম সময় ও সাশ্রয়ী খরচে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষের লক্ষ্য থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। তবে বর্ধিত সময় শেষ হলেও এখনও প্রকল্পের অবকাঠামো স্থাপনের কাজ এগিয়েছে ৬০ শতাংশ।