কিছুদিন আগে ভারতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের মরদেহ ৩৫ টুকরা করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছিলেন তারই সঙ্গে থাকা (লিভ-ইন পার্টনার) আফতাব পুনেওয়ালা। সেই রোমহর্ষক ঘটনার ভয়াবহতা না কাটতেই দেশটির কর্ণাটক রাজ্যে আরেক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এবার বাবাকে হত্যার পর ৩২ টুকরা করে গভীর নলকূপে ফেলে দিয়েছেন ছেলে। খবর এনডিটিভির।
পুলিশ জানিয়েছে, কর্ণাটকের বাগালকোটের এক তরুণ তার বাবাকে হত্যার পর মরদেহ ৩২ টুকরা করেছে। এরপর সেই মরদেহ খোলা গভীর নলকূপে ফেলে দেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ এক্সেভেটর মেশিন ব্যবহার করে ওই মরদেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভিথালা কুলালিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ২০ বছর বয়সী ভিথালা কুলালি গত ৬ ডিসেম্বর তার বাবা পরশুরাম কুলালিকে (৫৩) লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, পরশুরাম প্রায়ই মাতাল অবস্থায় বাড়িতে ফিরে ভিথালাসহ তার ছোট দুই ভাইকে মারধর করতেন। পরশুরামের স্ত্রী ও বড় ছেলে আলাদা বসবাস করেন।
গত মঙ্গলবার বিথালা তার বাবার মারধর সহ্য করতে না পেরে লোহার রড দিয়ে পরশুরামকে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ ৩২ টুকরা করেন ভিথালা। এরপর টুকরাগুলো বাগালকোট জেলার মুধল শহরের কাছের মানতুর সড়কের পাশে নিজেদের খামারের একটি খোলা নলকূপে ফেলে দেয়।
গত ১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করেন তার প্রেমিক আফতাব আমিন পুনেওয়ালা। এরপর শ্রদ্ধার মরদেহ ৩৫ টুকরা করে বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে সে, যা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। আফতাবকে ভালোবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিলেন শ্রদ্ধা। যদিও তার পরিণতি হয়েছে মর্মান্তিক।