রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকার একটি বাসা থেকে সুমাইয়া হাওলাদার (১৭) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তবে ওই গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, স্বামী হুমায়ুন তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার জোড়খালি গ্রামে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন আলী জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে মৃধাবাড়ির বাসা থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সুমাইয়ার মা আফরোজা আক্তার জানান, চার মাস আগে হুমায়ুন সুমাইয়াকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। পরবর্তীতে সে ৪ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের জন্য প্রায়ই সুমাইয়াকে মারধর করতো।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে তারা দেখেন, সুমাইয়া সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে। তবে খাটের সঙ্গে তার পা লেগে ছিল। সুমাইয়া আত্মহত্যা করেনি, তাকে তার স্বামী হুমায়ুন হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান তিনি।