মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী বছরের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রায়েরবাজারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন। সমাজে সবাই বুদ্ধিজীবী হন না। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করতে জাতীয়ভাবে একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত ১৫০০ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা আমরা করেছি। এছাড়া নতুন করে আরও ১০০ আবেদন জমা পড়েছে। আশা করছি ২৬ মার্চের আগে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে খুব কম পরিবার আছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরিবারে কাউকে হারাননি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে পারছিল যে, দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে, তখন তারা নির্মমভাবে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী কতটা নিষ্ঠুর, নির্মম ছিল, তা স্মৃতিসৌধে এলে বোঝা যায়। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে সুপরিকল্পিতভাবে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। খুনিরা মনে করেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও যেন দেশটা মেধাশূন্য থাকে, এ রাষ্ট্র যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা জাতির দাবি বলে মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। এখনও রাজাকারদের দোসররা বাংলাদেশে সক্রিয়।
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) এদেশের বিজয়কে, স্বাধীনতাকে বির্তকিত করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, সুকৌশলে তাদের প্রভুদের ইঙ্গিতে সব অপচেষ্টা করেছে। জনগণ অপশক্তিকে সবসময় প্রতিরোধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আগামী দিনেও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে কবর রচনা করবে।