পুলিশ সদস্যদের মাঝে চট্টগ্রাম নগরীতে বিশেষ অভিযানে আটক বমি গ্রুপের সদস্যরা। ছবি
অপকৌশলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় অপরাধ জগতে বমি গ্রুপ নামে পরিচিত চক্রটি। ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বের হলেই টার্গেটকে অনুসরণ, গায়ের ওপর বমির ভান করে মুখে রাখা খাবার উগরে দেয়া এবং পরবর্তীতে টার্গেটের কাছে থাকা টাকা লুটে নিয়ে সটকে পড়ে ওই গ্রুপের সদস্যরা।
চট্টগ্রাম নগরীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের চারজনকে আটকের পর বের হয়ে এসেছে নতুন এ বাহিনীর চাঞ্চল্যকর তথ্য।
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়া চারজনই সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ ঘটা বমি গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। এদের প্রত্যেকের বাড়ি ময়মনসিংহে। নগরীর আলমাস এলাকায় চলন্ত বাসে বমির কৌশলে এক যাত্রীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, প্রথমে গ্রুপের দুজন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারীকে টার্গেট করে। গণপরিবহনে উঠলে তারাও দলবেঁধে গাড়িতে উঠে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে দলের যে কোনো একজন মুখে রাখা কলা কিংবা সেমাইয়ের মতো খাবার টার্গেটের ওপর উগরে দেয়। এ সময় টার্গেট ব্যক্তি ময়লা পরিষ্কারে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তারা কৌশলে পকেট থেকে টাকা নিয়ে সরে পড়ে।
পুলিশ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বাস কাউন্টার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় এ ধরনের বেশকটি টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়ার পরই তারা অভিযানে নামে। ৪ জন আটক হলেও আরও অন্তত ৫টি গ্রুপের সদস্যরা এখনও পলাতক।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, এভাবে টাকা লুটের ঘটনায় আগেই বন্দর থানায় দুটি এবং কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।