ইরানে চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণের অভিযোগে অন্তত ৪০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানী তেহরানের একটি আদালত এ রায় দেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে অংশগ্রহণের দায়ে ১৬০ জনকে পাঁচ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সাজা দেয়া হয়েছে। আর বাকিদের দুই থেকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়াও অন্তত ৭০ জনকে জরিমানা করা হয়।
এর আগে দেশটিতে হিজাববিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিক্ষোভে অংশগ্রহণের দায়ে মোহসেন শেখারি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান। এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়ে আহত করা এবং তেহরানের রাস্তা বন্ধ করে ‘আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ ঘোষণার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হইয়েছিল।
এ ছাড়া সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ইরান। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিজান নিউজের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে হত্যার দায়ে ওই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে হিজাব ইস্যুতে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকেই দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় সহিংসতায়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ মাসের শুরুর দিকে সতর্ক করে দিয়ে জানায়, বিক্ষোভে অংশগ্রহণের কারণে ইরানে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে। কর্তৃপক্ষ গণঅভ্যুত্থানের অবসান ঘটাতে রাজনৈতিক দমনের হাতিয়ার হিসেবে মৃত্যুদণ্ড ব্যবহার করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা।