জিএম কাদের: ফাইল ছবি
দেড় মাস ধরে ক্ষমতাহীন জাতীয় পার্টির (জাপা) জিএম কাদের। আপিলেও আটকে গেছে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে তার দায়িত্ব পালন। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আছে কি না, তা বিবেচনার ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন জিএম কাদেরের আইনজীবী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম। বুধবার ১৫ ডিসেম্বর আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রায় দুই মাস ধরে দায়িত্বপালন করতে পারছেন না জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জানা যায়, রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত দলটির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধার আবেদনে গত ৩০ অক্টোবর দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্বপালনের ক্ষমতার হারান তিনি।
বিচারিক আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলেও হাইকোর্ট জিএম কাদেরের পক্ষে আদেশ দেন। তবে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে আটকে যান জাতীয় পার্টির এ চেয়ারম্যান। বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করতে পারবেন না বলে সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দেন।
আদেশের পর মৃধার পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ বলেন, হাইকোর্ট রুলসহ যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। নিম্ন আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশের বিরুদ্ধে জিএম কাদেরের করা আপিল দ্রুত শুনানি করতে বলা হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি জেলা জজ আদালতে এ সংক্রান্ত শুনানির তারিখ রয়েছে।
জাপা নেতা জিএম কাদেরের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞার আদেশটা থেকে যাওয়ায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তিনি।
এর পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ আছে কি না, তা বিবেচনার ভার জনগণকে দিয়েছেন দলটির এ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আইনজীবী।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ৪ অক্টোবর আবেদন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া জিয়াউল হক মৃধা।
জাতীয় পার্টিতে গৃহবিবাদের মধ্যে দলটি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা আদালতে যান।