ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) পাঞ্জাব কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ইমরান মেহমুদকে সঙ্গে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন। এ সময় তিনি জানান, তারা যে প্রমাণ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সময় রানা সানাউল্লাহ বলেন, বিশ্বের সামনে আমাদের অবস্থান তুলে ধরা এবং সন্ত্রাসবাদের ভারতীয় সংস্করণ উন্মোচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসের আগুনে পুড়ছে। আমাদের মসজিদ, ইমামবার্গ, গুরুত্বপূর্ণ ভবন, জমায়েতকে টার্গেট করা হয়েছে।
২০২১ সালের জুনে, লাহোরের জোহর টাউনে জামাতুদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সাইদের বাসভবনের কাছে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে তিনজন নিহত এবং একজন পুলিশ কনস্টেবলসহ ২৪ জন আহত হয়েছিল। ছয় বছর বয়সী আবদুল হক, তার বাবা আবদুল মালিক (৫০) এবং একজন যুবক পথচারী বিস্ফোরণে নিহত হন।
ঘটনার কয়েকদিন পর,পাকিস্তানের তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. মোইদ ইউসুফ একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ‘একজন ভারতীয় নাগরিক এবং তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সঙ্গে যুক্ত’।
এই বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, পাঞ্জাব বেলুচিস্তান থেকে জোহর টাউন বোমা বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড এবং সহায়তাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের নাম সামিউল হক ও উজাইর আকবর।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ পাশে থাকা আইজি মেহমুদ দাবি করে বলেন, আজ পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তিনি বলেন, আমরা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করি। তাদের মাধ্যমে হামলার পেছনে প্রধান অপরাধী সম্পর্কে জানতে পারি। তাকে গ্রেফতার করার পর এই ঘটনার পেছনের মাস্টারমাইন্ড ও তারা সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নাম সামি উল হক এবং উজাইর আকবর। তারা পাকিস্তানে র-এর স্পন্সর করা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রধান হ্যান্ডলার।
সানাউল্লাহ বলেন, আমরা আরও জানতে পেরেছি যে বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ভারতের মাধ্যমে প্রায় এক মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত সব ব্যক্তিকে আদালত তিনবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এখন প্রাপ্ত তথ্য জাতিসংঘে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।